রহমত নিউজ 10 July, 2025 07:45 PM
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের অফিস স্থাপন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের ৩৩তম বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে “জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়”-এর মিশন স্থাপন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশনের’ একটি পরিপূরক প্রটোকল হলো এর ঐচ্ছিক প্রটোকল, যা জাতিসংঘের আওতাধীন। প্রটোকলটি ২০০২ সালে গৃহীত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো-বিশ্বব্যাপী নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আরও জোরদার করা।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের এই মূল কনভেনশনে পক্ষভুক্ত হয়। সম্প্রতি, জাতিসংঘের ‘নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশনের ঐচ্ছিক প্রটোকল’-এ বাংলাদেশ পক্ষভুক্ত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মালয়েশিয়ার জোহর বাহরু’তে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়েও আলোচনা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে “জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে “জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
এছাড়া “মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৫”-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে “মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৫”-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
অতিবৃষ্টির কারণে সম্প্রতি ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যা ও জলাবদ্ধতার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা করা হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা বন্যা ও পরবর্তী গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে বক্তব্য দেন। উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে মুসাপুর রেগুলেটর ও বামনি ক্লোজার এর নকশা চূড়ান্তকরণ, ফেনীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চূড়ান্তকরণ ও নোয়াখালীর খাল ও ড্রেনেজ অবমুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে উপদেষ্টামণ্ডলীকে অবহিত করা হয়। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উল্লিখিত তিন জেলার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত, তীর প্রতিরক্ষা ও পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে থেকে এ পর্যন্ত গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কেও অবহিত করা হয়েছে।